স্বদেশ ডেস্ক:
রাজধানীর হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইয়াবা বহনের অভিযোগে ছয় সদস্যের একটি রোহিঙ্গা পরিবারকে আটক করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাদের আটক করা হয় বলে শুক্রবার এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক যুগান্তরকে জানিয়েছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় নভো এয়ারের কক্সবাজার ফ্লাইটে ঢাকায় অবতরণ করে পরিবারটি। অবতরণের পর এয়ারপোর্ট এপিবিএনের গোয়েন্দা দলের সন্দেহ হলে নজরদারিতে পড়েন তারা। এ সময় তাদের আটক করে এয়ারপোর্ট এপিবিএন অফিসে নেওয়া হয়। তৎক্ষণাৎ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা ইয়াবা বহন কিংবা অন্য কোনো অপরাধে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন। তারা নিজেদের বাঙালি হিসাবেও দাবি করেন। যাচাই করতে পরিবারের চার সদস্যকে বিমানবন্দরের সংলগ্ন উত্তরার একটি প্যাথলজি সেন্টারে পরীক্ষা করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় ডাক্তারি পরীক্ষায় ১৫ বছর বয়সি এক কিশোর ও তার ফুফু আছিয়া বেগম এবং তার চাচি জোহুরা বেগমের পাকস্থলিতে অস্বাভাবিক বস্তুর উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। এরপর তারা আরও জোরদার জিজ্ঞাসাবাদের মুখে স্বীকার করেন যে তারা পাকস্থলিতে করে ইয়াবা বহন করছেন।
ছয় সদস্যের এ পরিবার ইয়াবা বহনের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন সঙ্গে থাকা আছিয়া বেগমের স্বামী আলী আহমদ। এ সময় আছিয়া বেগমের সঙ্গে তার সাত মাসের শিশু ও জহুরা বেগমের সঙ্গে ১০ মাসের এক শিশু ছিল। রাতেই তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। সেখানে ৩ রোহিঙ্গা নাগরিকের পাকস্থলি থেকে ১৩০টি ইয়াবার প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। এসব ইয়াবার প্যাকেট থেকে গণনা করে সেখানে ৬ হাজার ২৭৫ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
অভিযুক্ত সবাই মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক। সবাই কক্সবাজার টেকনাফের লেদা ক্যাম্পের অধিবাসী। তাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা করা হয়েছে।